Tuesday, August 7, 2018

স্বৈরাচারী শাসন কী তা হয়তো ভুলে গিয়েছি : সোহেল তাজ

বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন আহমদ-এর হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ তার জন্ম লগ্ন থেকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন করেছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। পরবর্তীতে একই ধারায় আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে।
কথাগুলো বলেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন এর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেইজে তিনি এসব কথা লেখেন।



সোহেল তাজ বলেন, ইদানীংকালে আমরা অনেকেই স্বৈরাচারী শাসন কী তা হয়তো ভুলে গিয়েছিI নতুন প্রজন্মের জন্য ছোট্ট করে নিম্নে কিছু নমুনা দিলাম যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে স্বৈরাচার কি তা চিহ্নিত করতে পারিI
তিনি পয়েন্ট আকারে একটি তালিকা তুলে ধরেছেন। যাতে স্বৈরাচারী শব্দটির অনর্থক ব্যবহার রোধ করা যায়। সোহেল তাজ লিখেছেন,
স্বৈরাচারী শাসন চেকলিস্ট:
১. যখন সাধারণ মানুষ তার মুক্ত চিন্তা ব্যাক্ত করতে ভয় পায় I
২. যখন দল, সরকার এবং রাষ্ট্র একাকার হয়ে যায় আর সরকার কে সমালোচনা করলে সেটাকে রাষ্ট্রদ্রোহীতা বলে আখ্যায়িত করা হয়।
৩. যখন দেশের প্রচলিত নানা আইন এবং নতুন নতুন আইন সৃষ্টি/তৈরি করে তার অপব্যবহার করে রিমান্ডে নেয়া এবং নির্যাতন করা হয়।
৪. বিনা বিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয়I
৫. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ কে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়
৬. আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশসহ অন্যন্য সংস্থাকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৭. যখন সাধারণ নাগরিক সহ সকলের কথা বার্তা, ফোন আলাপ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মনিটর ও রেকর্ড করা হয়
৮. যখন এই সমস্ত বিষয় রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে হুমকি দেয়া হয়।





সোহেল তাজ এর আগে গণতন্ত্র নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে বলেছেন, 'একটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণ হচ্ছে চুলার উপর ডেকচিতে ফুটন্ত পানির মতো যাকে যত্নের সাথে লালন করতে হয় আর প্রয়োজনে সময় সময় তাপ কমিয়ে দিতে হয় I আবার যদি এর উপর ঢাকনি দিয়ে টাইট করে সিল করে দেয়া হয় তাহলে এটা একটি বিষ্ফোরকে পরিণত হয়ে যেতে পারে।


Saturday, August 4, 2018

যমজ

যমজ দুই বোন ক্রিসি বেভিয়ার এবং ক্যাসি বেভিয়ার ছোটবেলা থেকে একই রকম জিনিস ভালোবাসতেন। বাবা-মা তাদের জন্য যা কিছু কিনতেন একই রকম হতে হতো। বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা ছিল তাদের বিয়ের সময় কী হবে এই ভেবে। কিন্তু তাদের বাবা-মায়ের সেই দুশ্চিন্তার দারণ এক সমাধান মিলেছে। বিয়ের জন্য যমজ দুই বোন পেয়ে গেছেন একই রকম দেখতে যমজ দুই ভাই।



ঘটনাটি ঘটেছে একটু ভিন্নভাবে। চার বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম দিন ক্লাসরুমে তাদের একজন শিক্ষক জানতে চান এই ক্লাসে যমজ কেউ আছে কিনা। ক্লাসরুমের দুই প্রান্ত থেকে হাত তোলেন ক্যাসি বেভিয়ার এবং নিক লিউয়ান। পরবর্তীতে দুই জনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। প্রথম যখন তারা পরস্পরকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেমের প্রস্তাব দেন সেদিন তারা নিয়ে আসেন নিজেদের যমজদেরও।

সেখানেই ঘটে মজার এক ঘটনা। প্রথম দেখায় সেই দুই জনও একে অন্যকে পছন্দ করে ফেলেন। তাদের মধ্যেও গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই দুই যমজের প্রেমই গড়াচ্ছে বিয়েতে। গত শুক্রবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ক্রিসি বেভিয়ার এবং জ্যাক লিউয়ান। আর গতকাল শনিবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন একই ক্লাসে পড়া ক্যাসি বেভিয়ার এবং নিক লিউয়ান। দুই পরিবারই পাশাপাশি ফ্লাটে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যমজ ভাই-বোন মিলে গড়ে তুলেছে যমজ পরিবার।-এপি।